জৈব পদ্ধতিতে বেগুন চাষে বাম্পার ফলন পাচ্ছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা। বেগুন চাষে সফল হওয়ার জন্য তারা নিরাপদ বেগুন চাষের পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। এই পদ্ধতিতে বেগুনের রোগ ও পোকা দমনের জন্য জৈব কীটনাশক ও তরল জৈবসার ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বেগুনের চারা রোপণ, সার প্রয়োগ, সেচ ও ফল তোলার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চলা হয়।
জানা যায়, জেলার বেশিরভাগ উপজেলায় সারাবছরই বেগুনের চাষ হয়ে থাকে। চলতি বছরও জেলায় ব্যাপকভাবে চাষ হয়েছে বেগুনের। রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব পদ্ধতিতে ঝুকছেন জেলার চাষিরা। এতে করে খরচ কমার পাশাপাশি বেগুণের কাঙ্ক্ষিত ফলনও পাচ্ছেন। এছাড়াও এই পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপক চাহিদাও বাড়ছে।
কৃষকরা বলেন, নিরাপদ বেগুন চাষের পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা প্রতি বিঘা জমিতে ৩০-৩৫ মন বেগুনের ফলন পেয়েছেন। বাজারে বেগুনের দাম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। এভাবে তারা বেগুন চাষে ভালো মুনাফা করেছেন। তারা বলেন, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বেগুনের গুণমান ও স্বাদ ভালো হয় এবং বাজারে চাহিদা বেশি থাকে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, নিরাপদ বেগুন চাষের পদ্ধতি কৃষকদের জন্য উপকারী। এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে বেগুনের রোগ ও পোকা দমনের জন্য কোনো ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এতে করে বেগুন নিরাপদ হয় এবং পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না। তারা কৃষকদের উৎসাহিত করেন নিরাপদ বেগুন চাষের পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য।