বাউ মুরগি পালনে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছেন নীলফামারীর সীমান্তবর্তী এলাকা চিলাহাটির নারী উদ্যোক্তারা। স্বাদে গুণে দেশী মুরগির মত হওয়ায় স্থানীয় বাজারসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। যারফলে এই জাতের মুরগি পালনে এগিয়ে আসছেন নতুন নতুন নারী উদ্যোক্তারা।
নারী উদ্যোক্তারা জানান, ব্রয়লার মুরগির তুলনায় এই মুরগির মাংসের স্বাদ অনেক ভাল। এটি খাবার উপযোগী হতে ৪৩-৫০ দিনের মত সময় লাগে। বাউ মুরগি পালনে তেমন কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ হয় না। এই মুরগি পালনে সুবিধা হলো দেশি মুরগির তুলনায় অল্প দিনে বাজারজাত করা যায় এবং অন্য মুরগির তুলনায় ওজন ভালো আসে।
মনি আক্তার নামের এক নারী খামারি জানান, একটি মুরগি পালনে ব্যয় হয় ২০০ থেকে ২১০ টাকা। প্রতিকেজি মুরগি পাইকাররা ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা দরে কিনে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
আরেক নারী খামারি জানান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় বাউ মুরগি পালন করছি। বাউ মুরগির বাচ্চা বড় হয় সন্তোষজনকভাবে এবং মৃত্যুর হার কম। ৪৩ দিনের মধ্যে এ বাচ্চা ৯০০গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। এই জাতের মুরগি খেতে সুস্বাদু, মৃত্যুহার কম, উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে খুব সহজেই লাভবান হতে পারছি।
ডোমার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ব্রয়লার মুরগির তুলনায় এই মুরগির স্বাদ অনেক ভাল। এর মাংস অনেকটা দেশী মুরগির মত। এখানকার নারীরা বাউ মুরগি পালনে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষে নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করা হচ্ছে।