গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মাঠে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের শীতের সবজি। কিন্তু বেগুন রঙের এই বাঁধাকপি সবার মন কেড়েছে। এই বাঁধাকপি দেখতে এলাকা ও বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসে ভীর জমাচ্ছে। বাজারে দাম ও ফলন বেশি পাওয়ায় ‘লালিমা’ নামের এই বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন অনেক চাষিরা।
বেলাল হোসেন বলেন, আমি প্রত্যেকবারই নতুন নতুন জাতের সবজি চাষ করে থাকি। এ বছর আমি স্থানীয় ডিলারের মাধ্যমে ঢাকা থেকে থেকে কুরিয়ার সার্ভিসে লালিমা জাতের ৬ প্যাকেট বেগুনী বাঁধাকপির বীজ সংগ্রহ করি। প্রতিটি প্যাকেট এর দাম ৬০০ টাকা করে। বেগুনী বাঁধাকপির বীজগুলো নিজ জমিতে বপন করি। আবহাওয়া ও মাটি ভালো থাকায় ফলন অনেক ভালো হয়েছে।
বেলাল আরও বলেন, বাঁধাকপি চাষ করেতে এখন পর্যন্ত আমার ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়েছে। জমিতে কপি ফলেছে ৭ হাজারটি। পাইকারি ও খুচরা প্রতি পিস বাঁধাকপি বিক্রি করছি গড়ে ৩০ টাকা করে। এ বছর খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ টাকা লাভ করতে পারবো বলে আশা করছি। আমার সাফল্য দেখে অনেকেই বাঁধাকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কৃষক হোসেন বলেন, আমি ৪০ শতাংশ জমিতে লালিমা জাতের বেগুনী বাঁধাকপি চাষ করছি। জমিতে বেগুনী বাঁধাকপি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। উপরের সবুজ পাতা ছিঁড়লেই বেরিয়ে আসে বেগুনী রঙ্গের বাঁধাকপি। বাজারে দাম দর ভালো থাকলে আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ বেলাল উদ্দিন বলেন, এ বছর ফুলছড়িতে ৭০ শতাংশ জমিতে বেগুনী বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। এই বেগুনী বাঁধাকপিতে ঔষধি গুণ রয়েছে। এছাড়া এতে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে, পটাশিয়াম ও প্রচুর আয়রন রয়েছে। যা মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আমরা চাষিদের সকল ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি যাতে তারা আরও বেশি এই ফসল চাষে ঝুঁকে পড়ে।