প্রচন্ড তাপে নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা। অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি খরার কারণে শুকিয়ে পেয়ারার আকার ছোট হয়েছে। এছাড়াও পেয়ারায় কালো কালো ছিট পড়া রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি লবণ পানির নতুন আগ্রাসনে পেয়ারার স্বাদও কমে যাচ্ছে। এতে করে হতাশ হতাশ হয়ে পড়ছেন ঝালকাঠির প্রান্তিক পেয়ারা চাষিরা।
চলতি বছর জেলায় ৫৬২ হেক্টরে জমিতে পেয়ারার ফলন হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে এই ফল সংগ্রহ করা যাবে। কিন্তু প্রচন্ড গরমের কারণে ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন চাষিরা।
ঝালকাঠি সদরের ভীমরুলি গ্রামের কৃষক মনতোষ হালদার বলেন, এমন রোদ এর আগে কখনো দেখিনি। জমির মাটিও ফেঁটে চৌচির। গত দুই-তিন বছর ধরেই তাপমাত্রা বাড়লেও এবছরের মতো আর অবস্থা আগে কখনো হয়নি। ফলে পেয়ারার ফুল-কুড়ি সব ঝড়ে পড়ে যাচ্ছে। এলাকার অসংখ্য কৃষক এখন দিশেহারা।
পোষন্ডা গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, পেয়ারা আকারে ছোট হয়েছে। পাশাপাশি পেয়ারায় ছিট ছিট দাগ পড়েছে। লবণ পানি আর অনাবৃষ্টিতে এ বছর এলাকার পেয়ারা চাষিরা চরম লোকসানে পড়বে।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবেই এমন অনাবৃষ্টি এবং তীব্র তাপপ্রবাহ। তবে এ অবস্থায় গাছের গোড়ায় বেশি করে সেচ দিতে হবে।