গত বছরের তুলনায় এবছর হাটে গরুর দাম খুব চড়া। ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকার গরু এবছর দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০-৯০ হাজার টাকা। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, পশুর খাবারের দাম বাড়তি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে চলেছে। তাই সব কিছুর প্রভাব কোরবানির বাজারের পড়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পাবনা জেলার অন্যতম বৃহত্তর ঈশ্বরদীর অরণকোলা পশুর হাটে গরু-ছাগল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। এ হাটে গত বছরের তুলনায় বেশি দামে পশু বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খামারি শহীদুল ইসলাম, প্রায় ৩-৫ মণ ওজনের ছোট ও মাঝারি আকারের ৮ টি পশু হাটে নিয়ে আসেন। একেকটি গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছেন। তার মধ্যে আড়াই মণের ২ টি গরু ৮০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন।
আরেক খামারি জিল্লুর জানান, প্রায় আড়াই থেকে ৭ মণ ওজনের গরুর দাম ৯০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা দাম হাকিয়েছেন । এছাড়াও ১০ মণ ওজনের কয়েকটি গরুর দাম ৩ লাখ টাকার বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোণ ক্রেতা পাননি। ক্রেতারা দেখে দাম শুনে চলে যাচ্ছে কেউ কিনছেনা।
রাকিব আরো বলেন, ৩ মণ ওজেনের গরু কিনে আনতে হয় ৮০-৮৫ হাজার টাকা দিয়ে। পরিবহন সহ অন্যান্য খরচ আরো ২-৩ হাজার টাকা। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইকাররা বলছেন, পশুর খাবারের দাম ও লালন পালনের খরচ বেশি হওয়ায় খামারিরা ও গরুর মালিকরা দাম বেশি চাচ্ছেন। তাই আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হয়। ফলে গরু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
উপজেলার রূপপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে এসেছিলাম। গরুর দাম অন্যবারের তুলনায় বেশ চড়া। তাই আজ না নিয়েই চলে যাচ্ছি। ঈদের এখনও অনেকদিন বাকী। দাম আর একটু কমলে কিনব বলে জানান।