পটুয়াখালীতে বাদামের বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা!

চলতি মৌসুমে পটুয়াখালীতে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। আইপিএম পদ্ধতিতে বাদাম চাষ করে ফলন ভালো হয়েছে এবং রোগবালাই কম হয়েছে। বাদামের ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তাতে খুশি চাষিরা।

জানা যায়, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের বালুযুক্ত মাটিতে বাদামের ভালো ফলন হয়। বাদাম চাষে পোকামাকড়ের আক্রমণ হওয়ায় কৃষক বিভিন্ন সময় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে ইউএসআইডি মিশনের অর্থায়নে ফিট দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ইন্ট্রিগেডেট পেস্ট ম্যানেজমেন্ট একটিভিটি নামে একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে বাদামের ভালো ফলন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর ৪৪০০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হলেও এবার হয়েছে ৫৭৮৩ হেক্টর। বর্তমানে বাদাম কাঁচা অবস্থায় ৮০০০ টাকা থেকে ৯০০০ টাকা মণ এবং শুকনো অবস্থায় ১০ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত মণ হিসেবে বিক্রি করতে পারছে চাষিরা।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি গ্রামের কৃষক আজাদ মিয়া বলেন, বিগত বছরগুলো থেকে এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছি। এবার বাদামের দামও ভালো। দাম ভালো পাওয়ায় অনেক চাষিরা বাদাম চাষে ঝুঁকছেন।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনুকুল আবহাওয়া এবং ভালো ফলন পাওয়ায় বিগত বছরের থেকে এবার পটুয়াখালীতে বেশি পরিমাণ জমিতে চিনা বাদামের আবাদ হয়েছে। তাছাড়া এই বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে করে বাদাম থেকে তেল উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা তা অর্জন করা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্ট্রিটিউটের পটুয়াখালী সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চিনা বাদাম দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম একটি তেল জাতীয় ফসল। তবে এই অঞ্চলে এখন স্থানীয় জাতের চিনা বাদাম আবাদ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কৃষকরা যদি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্ট্রিটিউট উদ্ভাবিত বারি চিনা বাদাম-৮ এবং বারি চিনা বাদাম- ৯ চাষাবাদ করেন, তবে কৃষক অনেক বেশি ফলন পাবে। পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় উন্নত জাতের বীজ, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে, বাদাম উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে।