দিনাজপুরে বাঁশফল থেকে উৎপাদন হচ্ছে চাল। বাঁশের চাল মূলত মরা বাঁশের অঙ্কুরিত বীজ, যা একটি বাঁশের জীবনকালের শেষ দিকে হয়। যেখান থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হয়। এটি খেতেও ভাতের মতই সুস্বাদু। ইতোমধ্যে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের যুবক সাঞ্জু রায় চাল উৎপাদন শুরু করেছেন। নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বাজারে চাল বিক্রিও করছেন তিনি।
জানা যায়, প্রচলিত অন্যান্য জাতের চাল ও গমের চেয়েও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। একই সঙ্গে এটি হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, পিঠের ব্যথা ও বাতজনিত ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা বাঁশের চাল নিয়মিত খেলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এটার ডায়বেটিস প্রতিরোধের গুণ আছে।
এ প্রসঙ্গে সাঞ্জু জানায়, রান্নার ক্ষেত্রে এটা অন্য চালের মতোই এবং এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। রান্নার পর যে গঠনগত উৎকর্ষতা পাওয়া যায় সেখানেই এর ভিন্নতা রয়েছে। এটা বেশি চিবাতে হয় ও ভেজাভেজা ভাব থাকে এবং এই চাল খিচুড়ি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় বেশি।
তিনি আরও জানান, বাশফল থেকে চাল উৎপাদন করা যায় এটা আমি জানতাম না। পাশের গ্রামের কালী চন্দ্র রায় এ ব্যাপারে আমাকে বললে আমি বাশফল সংগ্রহ শুরু করি। পরবর্তীতে আমি চাল উৎপাদনে সফল হই। বর্তমানে প্রতিদিন ২০ কেজির মত বাশ ফল সংগ্রহ করছি। এসব চাল স্থানীয় বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে অনেকেই চাহিদা দিয়ে রেখেছে ।
এ বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রকিবুল হাসান জানান, বাঁশের বীজ থেকে চাল উৎপাদন হয় এই প্রথম জানলাম। এটি গবেষণার বিষয়।