তীব্র গরমে ওজন কমে যাচ্ছে কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা গবাদিপশুর। এছাড়াও মারা যাচ্ছে ফার্মেরমুরগি ব্যহত হচ্ছে ডিমের উৎপাদন। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা।
খামারিরা জানিয়েছেন, চলতি কুরবানি সামনে রেখে ইতোমধ্যে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু চলমান প্রচন্ড তাপে পশুগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে করে দাম কমে যাবে। কেননা খামারে অতিরিক্ত শ্রমিক ও গরমজনিত প্রতিক্রিয়া রোধে বেড়েছে ব্যয়। বেশি দাম হকেও ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিবে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
তৌহিদ পারভেজ নামের এক খামারি বলেন, ১৪০টি গরু প্রস্তুর করেছি। এর মধ্যে ১২০টি কোরবানিযোগ্য। যেহারে গরম বাড়ছে তাতে সব সময় টেনশনে থাকতে হচ্ছে৷ গরুর আলাদা যত্ন নিতে গিয়েও খরচ বেড়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি শুকিয়ে যাওয়ার ফল ওজন কমছে।
তিনি আরও বলেন, গরম কমাতে গরুগুলোকে দিনে সাতবার গোসল করাচ্ছি। প্রতিদিন ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় নানা খাদ্য ও নিয়মিত স্যালাইন দিচ্ছি। প্রচুর খরচ করে ভালো রাখার চেষ্টা চলছে।
মিলন নামের আরেক খামারি বলেন, গত করোনা থেকে লাইভ ওয়েটে গরু বিক্রি করতে শুরু করি। অনলাইনের পাশাপাশি খামার থেকে স্কেলে ওজন করে ক্রেতারা গরু কিনে নিয়ে যায়। কিন্তু এই গরমে ২০০ কেজি ওজনের গরুর সপ্তাহে ওজন কমেছে গড়ে ৮-১০ কেজি। আলাদা যত্ন এবং স্যালাইন সহ অন্যান্য টেককেয়ার করার পরও কাঙ্ক্ষিত ওজন বৃদ্ধি করা যাচ্ছেনা। এতে করে লোকসানের আশঙ্কা করছি।
এদিকে গত ১৫ দিনে এসব এলাকায় প্রায় ছয় থেকে সাতশ গরু-ছাগল অজানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও কাঁপুনি দেখা দেওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে এক পর্যায়ে দুর্বল হয়ে মারা যাচ্ছে। অনেক খামারি গরু-ছাগল আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন।