ড্রাগন চাষে ব্যাপক সফলতার পাশাপাশি একজন অনুকরণীয় চাষি হিসাবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলার ছেপাড়া গ্রামের শিক্ষিত যুবক আবুল ফয়েজ মুন্সী। বর্তমানে তিনি তরমুজ, পেয়ারা, ত্বীন ফল, বিদেশী জাতের রঙিন আম, ভিয়েতনামি মাল্টা, বড়ইসহ নানান জাতের ফল চাষ করছেন। এসব চাষ করে বছরে ২৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন।
জানা যায়, পড়াশোনা শেষ করে চাকরির পিছনে না ঘুরে শখের বসে ৪ বছর আগে ড্রাগনের চাষ শুরু করেন। ৫ বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা খরচে এক হাজার পিলারে ৮ হাজার ড্রাগন গাছ লাগান। বর্তমানে প্রতি বছর ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকার ফল বিক্রি করছেন তিনি।
কৃষি উদ্যোক্তা ফয়েজ মুন্সী বলেন, প্রথম ইউটিউবে ভিডিও দেখে শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করি। প্রথম দিকে চাষাবাদ সম্পর্কে তেমন একটা বাস্তব জ্ঞান না থাকায় সমস্যায় পড়তে হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে চাষাবাদ সম্পর্কে বিষদ জ্ঞান অর্জন করি। বর্তমানে ভালই ফলন পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে শখের বসে চাষ করলেও বর্তমানে আমি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছি। আমার বাগানে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমি নিজেও বাগানের পরিচর্যা করি। অনেক দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ফল নিতে আসে। আমি আরও জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা পরিধি আরও বৃদ্ধি করব।
দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, ড্রাগ্ন একটি বিদেশী ফল হলেও বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এর বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ ফলটি অনেক সুস্বাধু ও রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এর চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।