বিগত একমাস ধরে সারাদেশে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের কারণে বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা। অতিরিক্ত তাপের কারণে উৎপাদন কমছে ডিম ও মুরগির। এতে করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিসহ খাতসংশ্লিষ্টরা।
প্রান্তিক খামারি ও বড় উদ্যোক্তাদের মতে, এ বছরে গ্রীষ্মের শুরু থেকে অস্বাভাবিক উচ্চ তাপমাত্রার কারণে পোল্ট্রি খামারে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মুরগি মরে যাচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে মুরগি খাবার খেতে পারছে না। এতে মুরগির স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার গতি কমে যাচ্ছে, এবং তাতে মুরগি প্রতি গড়ে ৫শ’ গ্রাম ওজন কমছে। পাশাপাশি ডিমের আকারও ছোট হচ্ছে।
লেয়ার মুরগির খামারি রহমতুল্লাহ বলেন, গরমের কারণে মুরগি ঠিকমত খাচ্ছেনা। ফলে মুরগি শুকিয়ে যাচ্ছে। ডিম পাড়া কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও বেশি গরমের কারণে বেশ কিছু মুরগি ইতোমধ্যে মারা গেছে। সব মিলে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এবার প্রচুর টাকা লোকসান হবে বলেও তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ূনঃ লেয়ার মুরগির লিটার ব্যবস্থাপনা ও খাদ্য প্রয়োগে করণীয়
আরেক খামারি মিল্লাত বলেন, ঈদ পরবর্তী মাত্র একটি শেডে বাচ্চা তুলেছি। ক্যাপাসিটি ৫ হাজার থাকলেও মাত্র দুই হাজার বাচ্চা তুলেছি। সেখান থেকেও বেশকিছু হিট স্ট্রোকে মারা গেছে, এছাড়াও মুরগির যে গ্রোথ হবার কথা যে অনুযায়ী হচ্ছেনা। এতে করে উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
গরমের কারণে মুরগি খাবার কম খাওয়ার কারণে খামারির খরচ বাঁচে না, বরং ব্রয়লার মুরগির মত লেয়ার মুরগিরও বৃদ্ধি এবং ওজন কমে যায়,। ফলে ডিমের উৎপাদনে ভাটা পড়ে। পক্ষান্তরে ওষুধসহ বাড়তি পরিচালনা ব্যয়ের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় বলে জানান প্রান্তিক খামারিরা।