মোঃ সবুজ ইসলাম, ঠাকুরগাঁও: নদীর বুকে জেগে ওঠেছে চর। আর সেই জেগে ওঠা চরে মিষ্টি আলু চাষ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল এলাকায় নাগর নদীতে জেগে ওঠা চরে কৃষক আবু সালেহ’র মিষ্টিআলুর প্রথম চাষেই এসেছে সাফল্য।
বালু জমিতে চাষ করতে দেখে প্রথমে অনেকে হাসাহাসি করলেও সেই আবু সালেহ’র জমিতে একেকটি আলুর ওজন হয়েছে ৩- ৩.৫ কেজি। আর বালু মাটিতে আলুর বাম্পার ফলন দেখতে আসছেন শত শত মানুষ।
কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রানীশংকৈল এর সহায়তায় চরের সাড়ে সাত বিঘা জমিতে এ মিষ্টিআলু চাষ করেছেন কৃষক সালেহ। তাঁকে দেখে এখন একাধিক কৃষক চরের বালুতে মিষ্টিকুমড়া ও শসা চাষ করছেন। সেখানেও মিলেছে সাফল্য।
জমির উদ্দীন নামের এক কৃষক বলেন, চরের বালুমাটিতে এত সুন্দর ফসল হবে ভাবতেও পারিনি। এত বড় মিষ্টিআলু জীবনে দেখিনি। দেখে খুব ভালো লাগছে।
কৃষক সালেহ জানান, প্রথমে সেই জেগে ওঠা বালু মাটিতে চাষ শুরু করতে গেলে অনেকে নিরুৎসাহিত করলেও এখন পরামর্শ নিতে আসছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তা এবং উৎসাহের কারণে চরের জমিতে মিষ্টিআলুর চাষ করে সফল হয়েছি এবং ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন,মিষ্টিআলু চাষে পূর্বে অভিজ্ঞতা থাকলে আরও সফল হওয়া যেত। প্রথমবার ফলাফল ভালো হবে ভাবতেই পারিনি।
কাশিপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সজল সরকার বলেন, বালু চরের পতিত জমিতে মিষ্টিআলু চাষের জন্য যখন চাষিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় তখন চাষে অনেকে আগ্রহী ছিল না। তাদের অনেক কষ্টে বুঝিয়ে রাজি করানো হয়।
রানীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ জানান, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন– কোনো পতিত জমি ফেলে রাখা যাবে না। তারই ধারাবাহিকতায় নাগর নদীর চরে মুড়াসাকি ও ওকিনামা জাতের মিষ্টিআলুর চাষ করা হয়েছে। আশা করি, প্রতি হেক্টরে ৪০-৫০ টন মিষ্টিআলু উৎপাদন হবে। এতে চাষিরা লাভবান হবেন। সেই সঙ্গে এই ফসল জাতীয় উৎপাদনে যোগ হবে।