ঈদ পবরতী সময়ে সব রকমের সব্জির দাম কিছুটা বাড়লেও দাম বাড়েনি বেগুন, শসা ও টমেটোর বরং ব্যাপকভাবে কমেছে নিত্য প্রয়োজনীয় এই সব্জিটির দাম। প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিরা প্রতিকেজি টমেট বিক্রি করছেন ৮-১০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও প্রতি কেজি শসা ২-৫ টাকা ও বেগুণ ৫-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। পাইকারী পর্যায়ে উৎপাদিত সবজির দাম না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পাশাপাশি হতাশ হয়ে পড়ছেন চাষিরা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়াতে টমেটো সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেতের মধ্যে পচন ধরেছে। দাম না থাকায় চাষিরা ফসল তুলছেন নেয়া। কেননা ফসল তুলতে শ্রমিকের খরচও তোলা সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে টমেটো সহ অন্যান্য সবজি।
সৈয়দপুর ইউনিয়নের কৃষক নুরুল আবছার বলেন, চলতি বছর টমেটো চাষে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও এসেছে প্রত্যাশামত। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বাজারদর পাচ্ছিনা। প্রতিকেজি টোমেটো পাইকাররা ৮-১০ টাকার বেশি বলছেনা। এই দামে বিক্রি করে খরচও উঠছেনা। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। কাঙ্ক্ষিত দাম পেলে এই ক্ষেত থেকে প্রা দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা লাভ করা যেত।
আরও পড়ূনঃ তরমুজ চাষে লাভবান হচ্ছেন পটুয়াখালীর চাষিরা
মিলন নামের এরেক টমেট চাষি জানান, গত বছর এই সময়ে প্রতিকেজি টমেটো ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। কিন্তু এ বছর রমজান মাসে ভাল দাম পেলেও বর্তমানে দাম একেবারেই কম। মাত্র ৮-১০ টাকা দরে টমেটো বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০-৪৫০ টাকায়। এতে অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিব উল্ল্যাহ বলেন, প্রতিবছরেই চাষিরা টমেটোর ভাল দাম পেয়েছেন কিন্তু চলতি বছর চাষিরা বিভিন্ন কারণে দাম পাচ্ছেন না। এর মাঝে তীব্র দাবদাহ একটি অন্যতম কারণ। কেননা গরমে টমেটো দ্রুত পেকে যায়। ফসল হারেভস্ট করার ্পর পরেই এটা দ্রুত বিক্রি করে দিতে হয় না হলে দ্রুত পেকে নষ্ট হয়ে যায়। টমেটোর পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দাম চাহিদানুযায়ী না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশায় ভুগছেন।