পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ উৎপাদনে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছেন ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন উপজেলার চাষিরা। সাধারণ পদ্ধতিতে বছরে একবার ফলন হলেও এ পদ্ধতি বছরজুড়েই চাষ করা যায় তরমুজ। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে মালচিং পদ্ধতিতে অসময়ের চাষে ভালো ফলন পেয়ে খুশি গ্রীষ্মকালীন তরমুজ তরমুজ চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ১৮ থেকে ২০ টন ফলন হয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজের চাষাবাদ করেছি। এতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবে বলে আশা করছে তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমার দেখাদেখি এলাকার লোকজন এ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ লাভজনক ও ভালো ফলন পাওয়া যায়।
তরমুজ চাষি নুরুল হক জানান, এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে শ্রমিক, ঔষধ ও সেচ খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষাধিক টাকার তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। এত করে খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ আসছে।
তিনি আরও বলেন, শুরুর দিকে ভালই দাম ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দাম কমে আসছে। বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছেন। প্রতিটি তরমুজে ৪ থেকে ৮ কেজি ওজন রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, গ্রীষ্মকাল হওয়ায় বাজারে এ সময়ে তরমুজ পাওয়া যায় না। অসময়ে এই গ্রীষ্মকালীন তরমুজ তরমুজ চাষ হওয়ায় কৃষকরা ভালো দাম পাবেন। পতিত জমিতে পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে অসময়ে তরমুজ উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
