জমে উঠেছে পশুর হাট, দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতারা

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। চাহিদার বিপরীতে পশুর সংখ্যা বেশি হলেও দাম বেশি। তাই দাম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ক্রেতা। তবে খামারি ও গরুর মালিকদের দাবি, পশুর লালন-পালন ও খাদ্যের খরচ বাড়ার কারণে পশুর দাম এবার অনেক বেশি।

ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে বড় পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে হাট গবাদিপশুতে ভরে উঠেছে। নিজেদের পছন্দের পশুটি খুঁজে নিচ্ছেন ক্রেতারা।

হাটে ১৪টি গরু এনেছেন ব্রা‏হ্মন্দী গ্রামের গরু খামারি ফারুক হাওলাদার। এগুলোর বেশির ভাগ ফ্রিজিয়ান জাতের। তিনি বলেন, প্রতিবছর গো-খাদ্যের দাম বাড়ে। এসব গরুকে প্রতিদিন দুবার করে গোসল করাতে হয়। গোয়ালঘরে বৈদ্যুতিক পাখা সার্বক্ষণিক চলে। সব মিলিয়ে বর্তমানে গরুর খামারিরা খুব ভালো অবস্থায় নেই। তার ওপর গ্রামের কৃষকরাও বাড়িতে গরু পালন করেন।

উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা আইয়ব বেপারি হাটে গরু নিয়ে আসেন। দুটি গরুর ওজন আট মণের কাছাকাছি হবে বলে ধারণা করছেন ক্রেতারা। গরু দুটিকে প্রতিদিনই বিচালি, ভুট্টা, নেপিয়ার ঘাস, খৈল খেতে দিতে হয়। প্রতিদিন ৫০০ টাকার মতো খরচ আছে এসব গরুর পেছনে। এরপর গরুকে গোসল দেওয়া, মাঠে চরাতে নিতে হয়। তাই পশু বিক্রি করে এসব খরচ ওঠাতে চান বিক্রেতারা।

পশু বিক্রেতাদের এমন মনোভাবের বিপরীতে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের অভিযোগ, হাটটিতে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হাঁকছেন বিক্রেতারা।

গরু কিনতে আসা গিয়াস উদ্দিন জানান, হাটে গরুর সরবরাহ ভালো। তিনি কোরবানির জন্য একটি গরু কিনতে এসেছেন এ হাটে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি।

সদরপুর উপজেলা শহরের একটি সরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, হাটে পশুর আমদানি পর্যাপ্ত হলেও খামারি ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে গরুর দাম বেশি হাঁকছেন। যা আগের বছরের চেয়ে অনেক বেশি। পাঁচ মণের একটি গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। যা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য লাগামছাড়া। এ কারণে কোরবানির জন্য তিনি ছাগল কিনবেন।