ঘাস চাষে সফলতা পাচ্ছেন কুড়িগ্রামের চাষিরা

ঘাস চাষে আগ্রহ বাড়ছে কুড়িগ্রামের চাষিদের মাঝে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের নিজস্ব ক‍্যাম্পাসে নেপিয়ার পাকচং জাতের ঘাস চাষে সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খামারীরদের মাঝে এই জাতের ঘাস চাষ করার আগ্রহ বাড়ছে।

জানা যায়, নেপিয়ার পাকচং একটি হাইব্রীড, দ্রুত বর্ধনশীল এবং উচ্চ উৎপাদন সম্পন্ন ঘাস। এটি গবাদিপশুর জন্য অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সুস্বাদু ও মিষ্টি প্রকৃতির একটি ঘাস। সাধারণ নেপিয়ার ঘাসে যেখানে মাত্র ৮-১২% ক্রুড প্রোটিন থাকে সেখানে নেপিয়ার পাকচং ঘাসে ১৬-১৮% ক্রুড প্রোটিন পাওয়া যায়। নেপিয়ার পাকচং ঘাসে আছে শুস্ক পদার্থ ২৫% প্রোটিন ১৬% ফ‍্যাট ১% ফাইবার ২৭% ও মোটাবলিক এনার্জি ২ মেগাজুল / কেজি।

স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, নেপিয়ার পাকচং জাতের ঘাস খুব ভাল এবং সাশ্রয়ী। গবাদি পশুও খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে তাই ঘাস বিক্রির খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী হাটে কিনতে এসেছি। তাছাড়া নতুন প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা এই অফিসে যোগদানের পর থেকেই আমাদেরকে পশু পালন ও এই জাতের ঘাস উৎপাদনের বিষয়ে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার শামীমা আক্তার জানান, নেপিয়ার পাকচং ঘাস অন‍্যান‍্য জাতের ঘাসের চেয়ে অনেক পুষ্টিগুন সম্পন্ন। গবাদিপশু স্বাস্হ‍্যবান হওয়ার জন‍্য খুবই উপকারী। গবাদি পশু পালকারীরা এই জাতের ঘাস চাষ করতে চাইলে আমরা তাদেরকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হবে