তীব্র গরমে খুলনার বিভিন্ন ঘেরে মরে যাচ্ছে চিংড়ি মাছ। লোকসান ঠেকাতে সবরকমের চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রান্তিক চিংড়ি চাষিরা।
স্থানীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে—খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হচ্ছে।
চাষিরা জানান, গত ১০ দিন ধরে এ অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এতে করে ঘেরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও
অক্সিজেন ট্যাবলেট ও অন্যান্য উপকরণের পেছনে খরচ বাড়লেও অধিকাংশ চিংড়ি মরে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চিংড়ি চাষি গোগেশ মণ্ডল জানান, গরমের কারণে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক থাকেনি তাই শত শত মরা চিংড়ি ভাসতে দেখেছেন। চিংড়ির পোনাগুলো তিনি ১৫ দিন আগে চিংড়ির ঘেরে ছেড়েছেন। এতে তার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে৷
মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে খুলনায় প্রচন্ড দাবদাহ চলছে। এই সময় ঘেরে পানির তাপ ও লবণাক্ততা বেড়ে গেলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়। যারফলে চিংড়ি মারা যেতে থাকে। সেজন্য তাপপ্রবাহের সময় একটি ঘেরে কমপক্ষে তিন ফুট পানি রাখার জন্য চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।