খাগড়াছড়িতে নারী পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সচেতনতামূলক কর্মশালা

আজ খাগড়াছড়িতে প্রথম বারের মতো নারী পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন- বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ও ওয়াপসা- বাংলাদেশ শাখার নির্বাহী সদস্য ড. মো. ইলিয়াস হোসেন উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিআইসিসি সেক্রেটারি দেবাশিস নাগ।

নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন নাহার নাহিদ (মহুয়া)। নারী পুলিশ সদস্যদের ফিটনেস স্ট্যামিনা ও ডায়েট প্ল্যান বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সাজেদা ফাউন্ডেশনের পুষ্টিবিদ ও ডায়েট কনসালটেন্ট, ইশরাত জাহান। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের ডা. বিউটি চাকমা এবং খাগড়িছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস, মোঃ জসীম উদ্দিন, পিপিএম। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন পদমর্যাদার নারী কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, আমরা সবাই জানি স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আপনি নিজে সুস্থ থাকলে আপনার সন্তান ও পরিবার সুস্থ থাকবে। স্বাস্থ্য সচেতনতার একটি প্রধান অংশ হলো পারসোনাল হাইজিন। কথাটি শুনতে অতি সাধারণ মনে হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন- নারী পুলিশ সদস্যদের কর্মক্ষম ও ফিট থাকতে হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। শুধু নিজে সচেতন হলেই হবেনা; পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদেরও সচেতন করতে হবে। নারী পুলিশ সদস্যদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে ডিউটি করতে হয়। তাঁদের সুবিধার্থে সরকার মোবাইল টয়লেটের ব্যবস্থা করেছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, স্বাস্থ্য বলতে আমরা অনেকেই কেবলমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্যকেই বুঝি থাকি কিন্তু মানুষের মনও শরীরের সাথে সম্পৃক্ত। তাই শারীরিক ও মানসিক উভয় ধরনের স্বাস্থের প্রতি যত্নবান হতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিয়মিত ব্যায়াম করা, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়মিত চেকআপ করা। শরীর ও মন সুস্থ থাকলে ঘরে-বাইরে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করা যায়। কর্মশালায় ৩৫০ নারী পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ড. মো. ইলিয়াস বলেন, সুস্থ-সবল থাকতে হলে ভাতের পাশাপাশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডিম একটি সুপারফুড। এতে প্রায় সব ধরনের অত্যবশ্যকীয় অ্যামিনো এসিড বিদ্যমান। কর্মজীবী নারীদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২টি ডিম অত্যন্ত সহায়ক। প্রফেসর ইলিয়াস বলেন, ব্রয়লার মাংস নিয়ে এখনও অনেকের মাঝে অনেক ভুল ধারণা আছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষই ব্রয়লার মুরগির মাংস খায় কারণ এটি স্বাস্থসম্মত ও নিরাপদ।