মাহমুদুর রহমান রনি, বরগুনা: বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অংকুজান পাড়া গ্রামের কৃষক রাসেল মিয়া দুই বছর আগে তার বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত প্রায় ১০০শতাংশ জায়গায় ১০০ টি কুল বরই ও আপেল কুল বরই,বলসুন্দরী তিনটি জাতের বরই চারা রপন করেন। এ বছর তার প্রতিটি গাছে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ কেজি করে বরই ধরেছে। তার গাছ থেকে বিক্রেতারা ৬০ টাকা কেজি ধরে বরই কিনে নিয়ে যাচ্ছে।এই বিক্রি টাকা দিয়ে দিন দিন তার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।
কৃষক রাসেল জানান, তার বাড়ির ঐ জায়গাটুকু পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। একদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইউটিউবে বিভিন্ন সফল মানুষের সফল হয়া দেখে আর ভাবে তিনি তাদের মতো কিভাবে সফল হতে পারেন। আর এই বিষয়টি তাকে খুবই উদ্ধুদ্ধ করে। বরই চাষের উদ্যোগ নিয়ে এই বাগান করেছেন।
আরো বলেন, কৃষিতে সবচেয়ে লাভজনক চাষাবাদ হলো ফল বাগান করা। কিন্তু এই এলাকা তুলনামূলক নিচু হওয়ায় সেভাবে ফল বাগান করা যায় না। তবে এই ব্যাবসায়ী রাসেল মিয়ার বাড়িটি তুলনামূলক বড় হওয়ায় তিনিএই ফল বাগান করার উদ্যোগ নেন। ব্যাবসার পাশাপাশি বরই বিক্রি করে তিনি এখন ভালো অবস্থায় আছেন।
বরই বাগান দেখতে আসা পশ্চিম অংকুজান পাড়া গ্রামের মোঃ হাসিব বলেন, অনেকদিন ধরেই শুনছি এই এলাকাতে বরইয়ের (কুল) চাষ হচ্ছে। ফলনও নাকি খুব ভালো হয়েছে। যে গাছগুলোতে ফল ধরেছে, সেই গাছগুলো নাকি অনেক ছোট। তাই আগ্রহ থেকে দেখতে চলে আসলাম। তবে আসার পর আমি অবাক হয়েছি। বরই (কুল) গাছ অনেক ছোট, কিন্তু বরইয়ের (কুল) ভারে গাছের ডাল মাটিতে নুয়ে পড়েছে। বরইগুলোও (কুল) হয়েছে বেশ বড় বড়। এর আগে এমন গাছ দেখিনি। তা ছাড়া, বরইগুলোও (কুল) খেতে খুব সুস্বাদু।
স্থানীয়রা বলেন, ছোটবেলা থেকে খুবই কর্মঠ ছিলেন। চাষাবাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতেন। যতদূর জানি, তিনি ইউটিউব দেখে রইয়ের বাগান করেছেন। আমার বাড়ির খুব কাছে, তাই এই বাগানের পাশ দিয়ে আমাকে যাতায়াত করতে হয়। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে তার বাগান দেখতে। বরইর (কুল) জাত ও ফলন ভালো হওয়ায় আশা করা যায় তিনি বেশ লাভবান হবেন।
তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন হাওলাদার বলেন, কৃষক রাসেল মিয়া একজন সফল উদ্যোক্তা. তাকে সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হবে।