রোজার শুরুতেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে চলে যায় তরমুজের দাম। একেকটা বড় তরমুজ বিক্রি হয় ৮০০-১০০০ টাকায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ তরমুজ বয়কটের ডাক দিলে কমতে শুরু করে মৌসুমী এই ফলটির দাম। দাম কমতে কমতে বর্তমানে অর্ধেকেরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।
ঢাকার বিভিন্ন পাইকারী ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়, তরমুজের পসরা সাজিয়ে বসলে তেমন কোন ক্রেতাদের ভীর লক্ষ্য করা যায়নি। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুরুতে যে তরমুজ ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেই তরমুজ বর্তমানে ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবুও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছেনা।
ঢাকার অদূরে সাভারের উলাইলে তরমুজ কিনতে আসা এক গার্মেন্ট শ্রমিক রিফাত জানান, আগে পিস হিসাবে তরমুজ কিনলেও বর্তমানে কেজি হিসাবে কিনতে হচ্ছে। তাই এ বছর কোন তরমুজ কিনিনি। যতদিন দাম সাধ্যের মধ্যে না আসবে ততদিন না কেনার পণ করেছিলাম। এখন তরমুজের দাম সাধ্যের মধ্যে আসায় কিনতে আসলাম। ৪ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনলাম ৭০ টাকা দিয়ে।
আরেক ক্রেতা করিম শেখ বলেন, এ বছর দাম বেশি হওয়ায় সবাই বয়কট করছে, তাই বিক্রেতারা এখন বাধ্য হয়ে দাম কমিয়ে দিয়েছে। কেননা তরমুজ পচনশীল। তাই বেশিদিন রাখার সুযোগ নাই। এজন্য বিক্রেতারা কম দামেই বিক্রি করছে। ৬ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনলাম মাত্র ১২০ টাকায়। কেটে নিয়েছি ভিতরে লাল ছিল টেস্টও দারুণ। আমি ন্যায্য দামে কিনতে পেরে খুশি।
এদিকে বিক্রেতারা জানান, আমরা লোকসানেই তরমুজ বিক্রি করতেছি। তবু ক্রেতা পাচ্ছিনা। কেননা আমাদের বেশি দামে কেনা। তাই লস ছাড়া বিক্রি ছাড়া কোন উপায় নাই। এছাড়াও বর্তমানে সরবরাহ বেড়েছে। ইতোমধ্যে অনেক তরমুজ পচে গেছে। কম দামে বিক্রি না করলে আরও ক্ষতি হয়ে যাবে।
বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ছিল ৫০-৬০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকার ওপরে।