অনাবাদি জমিতে সজিনা চাষে লাভবান কৃষকরা

জয়পুরহাট জেলায় কৃষকরা অনাবাদি ও পতিত জমি গুলোতে সজিনার চাষ করছেন। গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশে রাস্তার দুপাশে সজিনার গাছ লাগিয়ে কৃষকরা চাষ করছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় চাষিরা এই সবজি চাষে দিন দিন ঝুঁকে পড়ছেন।

সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ, বম্বু, ভাদসা, দোগাছী, জামালপুর, দোগাছী, চকবরকত, ধলাহার ও পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর, মোহাম্মদপুর, আওলাই ও কুসুম্বা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে বারোমাসি সজিনার চাষ করছেন কৃষকরা। রাস্তার দু’পাশে পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি সজিনার সারি সারি গাছ গুলো এখন সজিনার ভারে দোল খাচ্ছে । জেলায় পুষ্টিগুণে ভরা সজিনা চাষ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে ।

সদর উপজেলার ধলাহার এলাকার সজিনা চাষি মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমার বাড়ির রাস্তার দুপাশে ১০টি সজিনার গাছ লাগিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ৮ মণ সজিনা বিক্রি করেছি। এবার সজিনার বাম্পার ফলন পাবো বলে আশা করছি। বর্তমানে সজিনা ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সজিনা বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

জয়পুরহাটের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, সজিনা পুষ্ঠিগুণে ভরপুর সবজি। সজিনার মধ্যে ভিটামিন-এ ও সি আছে। এটি মানব দেহের কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সজিনা উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের অনেক উপকারী।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, সজিনা বসতবাড়ির আশপাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে চাষ করা যায়। এটি একটি পরিবেশবান্ধব ও অর্থকরি আশঁজাতিয় সবজি। সজিনা চাষে খরচ কম। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। সজিনা গাছের তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বললেই চলে । অল্প পরিশ্রম করলেই অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়।