সিকৃবিতে স্মার্ট বাংলাদেশে বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

স্মার্ট বাংলাদেশে বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিকৃবির ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স কমিটির সহযোগিতায় ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর।

১১ মে ২০২৪ (শনিবার) সকাল থেকে দিনব্যাপি এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা।

কর্মশালাটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে দেশের চেহারাই বদলে দিতে পারে।”

ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স কমিটির ফোকাল পয়েন্ট খলিলুর রহমান ফয়সালের সঞ্চালনায় এবং আইকিউএসির পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এবং সিকৃবির ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালার শুরম্নতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এবং ইউজিসির ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স কমিটির সদস্য মো. শাহীন সিরাজ। পাশাপাশি তিনি রিসোর্স পার্সন হিসেবেও প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন।

রিসোর্স পার্সন হিসেবে আরো আলোচনা করেন ইউজিসির ইনোভেশন টিমের ফোকাল পয়েন্ট ও উপ পরিচালক দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস এবং ইউজিসির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট ও সিনিয়র সহকারী সচিব প্রবীর চন্দ্র দাস। ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, “সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয়। যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেবা গ্রহণ করছেন, তারা যাতে সবসময় সেটিসফাইড থাকেন তার জন্য বিভিন্ন বিভাগে ও দপ্তরে সেবা সহজিকরণের দিকে মনযোগ দেয়া হচ্ছে”। পাশাপাশি তিনি কম সময়ে ও কম খরচে কাজ সম্পন্ন করার এবং নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে সংশিস্নষ্টদের তাগিদ দেন।

ই-গভার্ন্যান্স ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সিকৃবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধানগণ, পরিচালকবৃন্দ, হল প্রভোস্টগণ এবং ফোকাল পয়েন্টবৃন্দসহ ৯২ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। ডিসকাশন, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও নলেজ শেয়ারিং-এর মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মশালাটি সম্পন্ন হয়।