মাহমুদুর রহমান রনি, বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটায় দিগন্ত জোড়া মুগডালে ছেয়ে আছে মাঠগুলো। অল্প সময়ে কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মুগ ডাল চাষ । পাথরঘাটা উপজেলার ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩০ হাজার ৭৮০ জন কৃষক মুগডাল চাষ করেছে ।সামনে কালবৈশাখী ঝড়ের কথা চিন্তা করে তীব্র তাপদাহের এর মধ্যে পাথঘাটায় শত কোটি টাকার ডাল সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষক কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি অফিসে তথ্য অনুসারে, উপজেলার সকল ইউনিয়নসহ পৌরসভায় বিভিন্ন জায়গায় ডাল চাষ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অধিক ডাল চাষ হয়েছে। এ বছর ডাল চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবছর আবহাওয়া ফসলের অনুকূলে থাকায় মুগ ডালের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ২৫০ টন। বর্তমান বাজারে কৃষক প্রতি টন ডাল বিক্রি করছে ৯০ হাজার টাকা । এবছর উপজেলায় উৎপাদিত ডালের মূল্য ধরা হয়েছে ১ শত ৫ কোটি টাকার অধিক ।
কালমেঘা ইউনিয়নের মুগ ডাল চাষী লতিফ মিয়া বলেন , আমরা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। ডালের উপরে স্বপ্ন আমাদের ।মাঠের তিনের দুই অংশের ডাল সংগ্রহ করা হয়ে গেছে। এবছর ডালের ফলন অনেক ভালো হয়েছে বাজারে ও ডালের ভালো মূল্য পাওয়া যাচ্ছে। খরচের চেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় আগামী বছর দ্বিগুণ জমিতে ডাল চাষ করবো।
সিসিডিবির এনগেজ প্রকল্পের স্বপ্ন নারী দলের সাগরিকা রানী বলেন, আমি ৯৯ শতাংশ জমিতে ডাল চাষ করেছি । জমি চাষ, বীজ ও সার বাবদ খরচ করেছি ১১ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত আমি ৩৫ হাজার টাকা ডাল বিক্রি করেছি আরো মনে হয় ২০ হাজার টাকার ডাল বিক্রি করতে পারব। অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে ডাল গাছ পুড়ে গেছে না হলে আরো ফলন ভালো হতো।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত হোসেন বলেন , মুগ ডাল একটি লাভজনক ফসল। মুগ ডাল চাষের জমিতে পরবর্তী সময়ে আমন চাষ করার জন্য ইউরিয়া সারের তেমন প্রয়োজন হয় না।এবছর আবহাওয়ায় ভালো থাকায় ডাল চাষিদের বাম্পার ফলন হয়েছে । এ বছর হেক্টর প্রতি প্রায় এক টন ডাল ফলন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন , ডাল চাষীদের মধ্য থেকে ৩ হাজার জনকে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রণোদনা হিসেবে ছিল ৬ কেজি ডালের বিজ ও ২০ কেজি সার। এ ছাড়া সকল কৃষকে মাঠ পর্যায়ে সকল সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।