পটুয়াখালী উপজেলার রজপাড়া, পাখিমারা, উমেদপুর, কুয়াকাটা এবং বান্দ্রা, আমতলী ও বরগুনায় বিনা চাষে আলু উৎপাদন করে চাষিরা সাফল্য অর্জন করেছেন। এই আধুনিক পদ্ধতিতে আলু চাষ করতে হলে প্রচুর খড় ও কচুরিপানার প্রয়োজন হয়। বিনা চাষে আলুর ফলন পেয়ে চাষিরা অনেক লাভবান হচ্ছেন। কম খরচে বেশি লাভ পাওয়ায় চাষিরা দিন দিন এ পদ্ধতিতে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
সূত্রে জানা যায়, কোন প্রকার জমি চাষ না দিয়ে আলু উৎপাদন একটি লাগসই প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান কাটার পর জমিতে পরিমিত সার দিয়ে নির্দিষ্ট দুরত্বে আলুর বীজ বপন করতে হয়। তারপর ধানের খর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে জমিতে মাটির রস সংরক্ষিত হয়, লবনের প্রভাব কম পড়ে, উৎপাদন খরচ কম হয় এবং ফসল ভালো পাওয়া যায়। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ২ টন আলুর ফলন হয়েছে। এখানকার চাষিরা এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে অধিকাংশ পতিত জমিতে আলু চাষ করা সম্ভব হবে।
রজাপাড়া গ্রামের কৃষক হানিফ ও রমজান বলেন, পরীক্ষামূলক ভাবে কিছু জমিতে এ পদ্ধতিতে আলু চাষ শুরু করি। চাষের প্রয়োজন হয় না বলে খরচ ও কম লাগে। ফলন ও খুব ভালো পেয়েছি। পরবর্তীতে আরও বেশি জমিতে এ পদ্ধতিতে আলু চাষ করবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার এ.আর. এম সাইফুল্লাহ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এ পদ্ধতিতে আলু চাষ শুরু হয়। পরে সফলতা পাওয়ায় চাষিরা এ পদ্ধতিতে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন। এ পদ্ধতিতে কম খরচে ফলন ভালো পাওয়া যাচ্ছে। কৃষকদের কাছে ধীরে ধীরে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে আশা করছি।