দিনাজপুরে লিচুর বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের

প্রতিবারের মতো এবারও দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক পরিমাণে লিচু চাষ হয়েছে। জেলার সব উপজেলা গুলোতে লিচু বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। প্রতিটি লিচু গাছে প্রচুর লিচু ধরেছে। শেষ পর্যন্ত যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা লিচু চাষে ভালো লাভের আশা করছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, চাষিরা লিচু গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। জেলার সর্বত্রই লিচু উৎপাদন হচ্ছে। মাঠ বাগান ছাড়াও আনাচে-কানাচে, বাড়ির আঙ্গিণায় লিচু গাছ দেখা যাচ্ছে। বেশীরভাগ লিচু গাছে ফুটেছে ফুল। বড় গাছের চেয়ে মাঝারি ও ছোট ক্যাটাগরির গাছে বেশি মুকুল আসে। সেই ফুল পরিচর্যা করতে চাষিরা অনেক বেশি যত্নবান এবং ব্যস্ত দিন পার করছেন। কয়েকটি গাছে কোমল লিচু দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশি লিচু গাছে গুটি আশা শুরু হয়েছে। এ বছর লিচু চাষে ভালো লাভের আশা করছেন কৃষকরা।

লিচু চাষি মতিউর বলেন, এই এলাকার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচু চাষে উপযোগী। এই এলাকার লিচু খেতে খুব সুস্বাদু। আমার ২৩টি লিচু গাছের মধ্যে ১৮টি গাছে লিচুর গুটি এসেছে। এ বছর লিচু চাষে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।

আরেক লিচু চাষি  বলেন, এখন আবহাওয়া খুবই ভালো, তাপমাত্রাও অনেক ভালো। তাই আমরা ভালো ফলনের আশা করছি। কিন্তু তাপমাত্রা বেশি হলে তা উৎপাদনের জন্য বড় ধাক্কা হবে।

তিনি আরও বলেন,  ফুল আসা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই পরিচর্যা শুরু করে দিতে হয়। নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেয়া শুরু হয়েছে। লিচু গাছগুলোতে ফুল আসতেই রাজশাহী, রংপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লিচু ব্যবসায়ীরা আসতে শুরু করেছেন। তারা আগাম লিচু বাগান ক্রয় করছেন।

জেলা কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, আমরা কৃষকদের বাগানের পাশাপাশি মুকুলের পর গুটির পরিচর্যা করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। লিচু গাছে এ সময় অ্যানথ্রাক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তাই কৃষকদের এ সংক্রান্ত ওষুধ স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।