কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, বাকৃবি: জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনার বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ২০২৪ ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি এর কনফারেন্স হল সাভার, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট বায়োটেকনোলজিস্ট ডক্টর আনোয়ার হোসেন। প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রগতি অবহিতকরণ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইবি মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন বিষয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জাতীয় জীন ব্যাবস্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সিএসও ড. মোবারক ।
সেমিনারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০০ জন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিসহ এনআইবির বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । দিনব্যাপী এই সেমিনারে প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। তাছাড়া, জাতীয় জীন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও উপস্থিত সকলের মতামত নেয়া হয় । এ সেশনটি পরিচালনা করেন প্রকল্প পরিচালক, জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন (১ম সংশোধিত) ড. জাহাঙ্গীর আলম।
ড. জাহাঙ্গীর আলম জানান, জীন ব্যাংকে দেশে বিদ্যমান উদ্ভিদ, প্রাণী, মৎস্য, অণুজীব, কীটপতঙ্গ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মেরিন, বনজ এবং মনুষ্য কৌলিসম্পদ কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেস প্রণয়ন ও সংরক্ষণ করা হবে। জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ টেকসই ব্যবহারের জন্য উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীব, ইত্যাদি বা এগুলোর জেনেটিক উপাদান সংগ্রহ ও দীর্ঘমেয়াদে রক্ষণাবেক্ষণ এর উদ্দেশ্য ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিগত ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে অনুষ্ঠিত
ন্যাশনাল টাস্কফোর্স অন বায়োটেকনোলজি অফ বাংলাদেশ এর ২য় সভায় ন্যাশনাল জীন ব্যাংক স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে সিদ্ধান্তের আলোকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি “জাতীয় জীন ব্যাংক স্থাপন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় যা, বাস্তবায়নের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরও জানান এতে প্রায় ৪০ লক্ষ নমুনা ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেজমেন্টসহ ১২তলা বিশিষ্ট ল্যাব কাম অফিস এবং জীন ব্যাংক ভবন, গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, এনিম্যাল সেড, ননসীড প্ল্যান্ট সেড ও কোয়ারেন্টাইন সেড, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ডরমিটরী ভবনসহ ও অন্যান্য আবাসিক ভবন, ইত্যাদি থাকবে। ।