অযৌক্তিকভাবে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল নামে বিতর্কিত কাউন্সিল গঠন করে প্রাণিসম্পদ সেক্টরের উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শেরপুর ভেটস ক্লাব।
সম্প্রতি শেরপুর জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের সামনে শেরপুর ভেটস ক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে শেরপুর ভেটস ক্লাবের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ডা: নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন -২০১৯ বলবত থাকার পরও লাইভস্টক সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ সকল প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে পাশ কাটিয়ে একজন এএইচ গ্রাজুয়েট সচিবের ক্ষমতার চুড়ান্ত অপব্যবহার করে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে বাংলাদেশ এনিমেল হাসবন্ড্রি কাউন্সিল নামে বিতর্কিত আইন করে নেওয়ার অপচেষ্টার নিন্দা এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এর পাশাপাশি আমরা এ ঘৃণ্য অপতৎপরতার জন্য সচিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।
শেরপুর সদর উপজেলা ইউএলও ডা. রুকুনুজ্জামান পলাশ বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যেখানে ভেটেরিনারিয়ানরা পর্যাপ্ত সেখানে এএইচ গ্রাজুয়েটদের দরকারই নাই। গুটিকয়েক লোকের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এ ধরনের কাউন্সিল গঠনের আমরা নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সমাপনী বক্তব্যে জেলা ট্রেইনিং অফিসার ও শেরপুর ভেটস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: রেজওয়ানুল হক ভূঁইয়া বলেন, সম্প্রতি এএইচ গ্রাজুয়েট ধারী একজন সচিব সকল রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে একটি সাংঘর্ষিক আইন করার জন্য যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে আমরা তার নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সারা বাংলাদেশের ভেটেরিনারিয়ানদের এক হয়ে এ ধরনের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের এ যৌক্তিক ও নৈতিক আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
উক্ত প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক ডা: তানভীর আহমেদ তালুকদার, নারিশ পোল্ট্রি এন্ড ফিড লি: এর কাস্টমার সার্ভিস অফিসার ডা: রাকিবুল মজুমদার, শেরপুর সদরের এলইও ডা. জুলফিকার রাজিব সহ শেরপুর ভেটস ক্লাবের অনান্য সদস্য এবং প্রাইভেট সেক্টরের ভেটেরিনারিয়ান ও শেরপুরে অবস্থানরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ।