বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে আঙুর ফলের চাষ। আর এবারই প্রহমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে আঙুর চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন বগুড়া ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর গ্ৰামের কৃষক আব্দুল হাকিম। তার এমন সাফল্যে খুশি এলাকার মানুষরা। অনেকেই তার বাগান ঘুরে দেখছেন এবং নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
জানা যায়, অনলাইনের আঙ্গুর চাষ বিষয়ক ভিডিও দেখে উদ্বুদ্ধ হন। পরবর্তীতে তিনি ৫ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ভারতীয় চয়ন জাতের ২২টি আঙুর চারা রোপণের মাধ্যমে চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরেই তিনি ব্যাপক সফলতা পান। বর্তমানে গাছে থোকায় থোকায় আঙুর ধরেছে।
এ প্রসঙ্গে হাকিম জানান, প্রথম দিকে ভাবিনি আমাদের দেশের মাটিতেই এত সুন্দর আঙুরের ফলন পাব। অনেকের মুখে শুনতাম আমাদের দেশে আঙুর উৎপাদন করা গেলেও ফল টক হয় কিন্তু আমার সে ধারণা আমূল বদলে যায় যখন আমি আমার উৎপাদিত আঙুর খেয়ে দেখি। এখানকার আঙুর একদম বিদেশী আঙুরের মতই মিষ্টি এবং দেখতেও অনেক আকর্ষণীয়। অনেকেই বাগানে এসে আঙুর খাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মাটি ও আবহাওয়া আঙুর চাষের উপযোগী। চারা রোপণের ৮ মাসের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করে। প্রথম ধাপে ফলন কম হলেও পরবর্তীতে প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ১-২ কেজির মত ফল পেয়েছি। পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করলেও আগামীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু করব। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে আরও ভাল করা সম্ভব। এসময় তিনি সরকারি সহযোগিতা আশা করেন।
এদিকে হাকিমের আঙ্গুর বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানায়, এখানকার আঙুর বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। তারাও এখান থেকে চারা নিয়ে চাষ করবেন। সবাই যদি নিজের খাওয়ার জন্য হলেও বাসায় এক দুইটি আঙুরের গাছ লাগায় তাহলে এই ফলের আমদানি কমে যাবে। এর ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।